মেহেরপুর নিউজ:
চলতি মৌসুমী মেহেরপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি পাট চাষ হলেও পাট জাগ দেয়া নিয়ে মহা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ঋতু অনুযায়ী বর্ষার শেষ দিকে এসেও মেহেরপুরে বৃষ্টির পানি না হওয়ার কারণে চাষিরা তাদের পাট জাগ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বর্ষাকাল। আষাঢ় মাস পেরিয়ে শ্রাবণ মাসের শেষের দিকে। কিন্তু এখনো মেহেরপুরের আকাশে বৃষ্টির পানির দেখা নেয়। একটা সময় ছিল, যখন বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পরপরই মেহেরপুরের প্রতিটি মাঠঘাট, খাল-বিল, নদ-নদেতে বৃষ্টির পানি থৈথৈ করত।
গ্রামের মানুষজন বর্ষাকালে অন্যত্র বেড়াতে যাওয়ার সাহস পেত না। কারণ কর্দমাক্ত রাস্তা। কিন্তু বর্তমানে সেগুলো এখন অতীত হয়ে গেছে। বিগত কয়েক বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে মেহেরপুরের আকাশে পানি শূন্য। যে কারণে মেহেরপুরের একমাত্র নদ ভৈরব। সেখানে পাঠ জাগ দিতে এমনিতেই সরকারি ভাবে নিষেধ। তারপরও খাল-বিল কিংবা রাস্তার পাশের পরিত্যক্ত গর্তগুলো পানি শূন্য রয়েছে, যে কারণে পাটজাগ দেওয়া নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলায় ২১ হাজার ৭৩৪ সেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬৬ হেক্টর বেশি জমিতে পাঠের চাষ হয়েছে। অর্থাৎ মেহেরপুর জেলার পাট চাষ হয়েছে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে।
এদিকে বর্ষার পূর্ণ মৌসুমেও মেহেরপুরে বৃষ্টির পানি না থাকাই পাট চাষীরা তাদের পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। অনেক চাষী বাড়তি খরচ করে পাট কেটে তাদের পাট দূর দূরান্তে নিয়ে পুকুর ভাড়া করে পাট জাগ দিচ্ছে। অনেক চাষী আবার গর্ত কিংবা পুকুর ভাড়া নিয়ে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে খরচের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। পাটের রং হয়ে যাচ্ছে কালছে।
