মেহেরপুরের গাংনীতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষন , একজন আটক

মেহেরপুর নিউজ,০৮ অক্টোবর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়ির পাশে থেকে তুলে নিয়ে যেয়ে গণধর্ষন করেছে একদল বখাটে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে গাংনী থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ বাবুল হোসেন নামের এক যুবককে আটক করেছে । এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ৭ম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে বাড়ি পাশ থেকে তুলে নিয়ে যেয়ে একটি ইট ভাটায় জোর পূর্বক গণধর্ষন করে একদল বখাটে। ধর্ষন শেষে ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে যায় ধর্ষনকারীরা। পরে স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাপতালে ভর্তি করেপরে ছাত্রীর নিয়াত আলী বাদি হয়ে গাড়াডোব গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে শুভ কে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি ধর্ষন মামলা করেণ। মামলা নং ০৯।মামলার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অন্যতম আসামী বাবুল হোসেন নামের একজন কে গ্রেফতার করেছে ।

মামলার বাদী, এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাড়াডোব গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে শুভ গত কয়েক মাস যাবৎ ওই ছাত্রীকে উত্যাক্ত করে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পার্শে একটি নলকুপ থেকে পানি আনতে গেলে শুভসহ তার সহযোগীরা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে পার্শবর্তী একটি ইট ভাটায় ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মনির জানান, ধর্ষনের ঘটনায় গাড়াডোব গ্রামের বাবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। কিনি বলেন, ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, ধর্ষন মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।