মেহেরপুরের কুলবাড়িয়ায় নামাজ পড়া অবস্থায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ।। নেপথ্যে স্ত্রী’র পরকীয়া

মেহেরপুর নিউজ ২৪ ডট কম,১৭ জানুয়ারি:

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আহলে হাদিস জামে মসজিদে জুম্মার নামাজে সেজদায় থাকা অবস্থায়  প্রতিপক্ষ ঘরজামাই নিজামত পরকীয়া প্রেমের জের ধরে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে হামিদুল নামের এক ব্যক্তিকে। আহত হামিদুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মেহেরপুর নিউজকে বলেন,আহত হামিদুলের অবস্থা আশংকাজনক। তার মাথায় আঘাত হয়েছে। রক্তক্ষরণ হয়েছে মাত্রাত্রিরিক্ত।

অন্যদিকে ঘাতক ঘরজামাই গাংনী উপজেলার বামন্দীর নিশিপুর গ্রামের কাজীমুদ্দীনের ছেলে নিজামতকে মুসল্লী ধরে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি জানান,আঘাতটি পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। কারণ ঘাতক নিজামত মসজিদে নামাজ পড়তে আসার সময় চটের ব্যাগে করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ডাসা নিয়ে আসে। সুযোগ বুঝেই সে হামিদুলের মাথায় আঘাত করে। তিনি বলেন,স্ত্রী’র ওপর রাগ করেই সে এই কাজটি করেছে। পুলিশ ডাসাটি উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আজ শুক্রবার কুলবাড়িয়া গ্রামের বানি হোসেনের ছেলে হামিদুল ও একই গ্রামের বজলুর রহমানের ঘরজামাই নিজামত পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছিল। হামিদুল প্রথম রাকাত শেষ করে দ্বিতীয় রাকাত নামাজ পড়ার জন্য সেজদায় গেলে পাশে থাকা হামিদুল সেজদায় না গিয়ে তার কাছে থাকা ডাসা দিয়ে সজোরে কোপ দেয়। এসময় হামিদুল চিৎকার করে মসজিদে লুটিয়ে পড়ে। অন্যান্য মুসল্লীরা নামাজ শেষ না করেই নিজামতকে তাড়িয়ে ধরে এবং হামিদুল রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আহত হামিদুল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় মেহেরপুর নিউজ প্রতিনিধিকে বলেন,নিজামতের স্ত্রী’র সাথে আমার কোন অবৈধ সম্পর্ক কিংবা পরকীয়া প্রেম নেই। প্রতিবেশী হিসেবে কথা বলি। এছাড়া আর কিছুনা। কিন্তু সে আমাকে অকারণে সন্দেহ করে।

হামিদুলের কথা মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করে আটক নিজামত মেহেরপুর নিউজ প্রতিনিধিকে বলেন,আমি নিজের চোখে আমার স্ত্রী’র সাথে তার অবৈধ মেলামেশা দেখেছি। তাকে অনেকবার নিষেধ করার পরও সে শোনেনি।