মেহেরপুর নিউজ:
মেহেরপুর জেলা জজ কোর্টের পিপি পল্লব ভট্টাচার্যের বাড়িতে চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ খোসবার ওরফে খোসবতি, আব্দুল হান্নান, মুন্না, আলফাজ উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম এবং পলাশ নামের ৬ জনকে পেনাল কোড ৪৫৭ ধারায় প্রত্যেককে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড। ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরো ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পেনাল কোড ৩৮০ ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড। ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত খোসবার ওরফে খোসবতি মেহেরপুর শহরের শিশু বাগানপাড়া খোরশেদ আলীর ছেলে। আব্দুল হান্নান শহরের গোরস্তানপাড়া মুসলিম আলীর ছেলে। মুন্না শহরের পৌর এলাকার তকবীর হোসেনের ছেলে। আলফাজ উদ্দিন সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামে তাজেম শেখের ছেলে। তরিকুল ইসলাম সদর উপজেলার খন্দকার পাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। এবং পলাশ গোরস্তানপাড়া নাজির কামারের ছেলে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আলফাজ এবং তরিকুল পলাতক রয়েছেন। তারা আটকের দিন থেকে সাজা শুরু হবে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকার বাসিন্দা মেহেরপুর জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে এসে দেখতে পান, তার বাড়ির গ্রিল কাটা এবং বাড়ির ভিতরে আলমারিতে রাখা প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যাই। একই সাথে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে রেখে যায়। ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়। তিনি ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না। ওই ঘটনায় পল্লব ভট্টাচার্য্য বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় ৩৮০/৪০৭ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১,। জি আর কেস নং ৩৩০/১৭। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় মোট ১০ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামী খোসবার ওরফে খোসবতি, আব্দুল হান্নান, মুন্না, আলফাজ উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম এবং পলাশ দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের প্রত্যেককে পেনাল কোড ৪৫৭ ধারায় প্রত্যেককে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড। ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরো ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পেনাল কোড ৩৮০ ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড। ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।মামলার রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি সাথী বোস এবং আসামি পক্ষে এ্যাডঃ আসাদুল আজম খোকন কৌশলী ছিলেন।