জোড়া হত্যা মামলার ৫৭ জন আসামি কারাগারে

মেহেরপুর নিউজ:

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামে নির্বাচনের প্রাক্কালে সহিংসতায় জোড়া হত্যা মামলার ৬৬ জন আসামির মধ্যে ৫৭ জন আসামি মেহেরপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মামলার প্রধান আসামি আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে ৫৭ জন আসামি মেহেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন নাহারের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ৫৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অপর ৭ জন আসামিকে সহিংসতার ঘটনার পর পরই পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। বর্তমান তারা কারাগারে রয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

আদালতে আত্মসমর্পণ করি ৫৭ জন হল রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের ছৈফতুল্লাহ ছেলে গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, গোলাম হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক, জফের আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে ছমির,মহব্বত আলী শেখ হামিদুল, সাহার আলি ছেলে টিপু,জার্মান আলীর ছেলে মানা, নুর ইসলামের ছেলে মিনা,পাতুর ছেলে সিরাজুল,সহিদুলের ছেলে বাবলু,আকছাদে ছেলে মাদার,মোহম্মদ আলীর ছেলে রুহুল হেলুর ছেলে জাহিদ, আকছাদের ছেলে মিনহাজুল, চাঁদ আলীর ছেলে এনামুল, জানবার এর ছেলে এনামুল হক, জফেরের ছেলে নুর ইসলাম, এরশাদের ছেলে আনোয়ার, সৈয়ফতু উল্লাহ ছেলে পাতু,রহমতে ছেলে সাহার, জার্মান আলী হানা,মোজাম এর ছেলে রবিউল, আলেফের ছেলে বিপ্লব,আলিফের ছেলে জামারুল,মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলিফ,আকছাদের ছেলে ইন্তাজ,মান্নানের ছেলে জসীম, জানবার ছেলে আনারুল, আকছাদের ছেলে বোরহান, মহিদুল এর ছেলের রহিদুল, মেগুর ছেলে মেজের, মহিবুর এর ছেলে বাবু, দিলুর ছেলে নজরুল, জেল হাজের ছেলে রাশিদুল, আক্তারের ছেলে জাহিদ, গোলাম মোস্তফার ছেলে দুলাল, হানিফের ছেলে হাসান, দেলবারের ছেলে মহিবুল, সফি,হারেজ আলী ছেলে টোকন,আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আশানুর, কলিমুদ্দিন ছেলে পালু, আকসাদের ছেলে লুৎফর, আজমত আলী আরমান,নজিম উদ্দিন এর ছেলে গোলাম, রহমতে ছেলে সিফাত, হক আলীর ছেলে ওয়াদুদ, ফজলু ছেলে মজনু, মুখ সাদ ছেলে আজমত,চাঁদ আলীর ছেলে সাহাবুল, রমজানের ছেলে মুজাম, কাশেমের ছেলে গিয়াস, আতরআলী ছেলে মুসা, সিরাজের ছেলে পিন্টু, নজরুলের ছেলে নাহিদ, এসের আলীর ছেলে এরশাদ আলী, হাসান আলীর ছেলে ফুকু,কাদের মণ্ডলের ছেলে আজমত।

গত ৮ নভেম্বর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামে ২ মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে বিবাদের জের ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে জাহারুল ইসলাম এবং সাহাদুল নামের দুই সহোদর নিহত হন। ওই ঘটনায় লাল্টু বিশ্বাস বাদী হয়ে আতিয়ার রহমানকে প্রধান করে মোট ৬৬ জন কে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৯। ঘটনার পরপরই গাংনী থানার পুলিশ রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের জাহারুল, মহব্বত, নজরুল, আখিরুল, কাটু, হেলু এবং লাভলু নামের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেন। মামলার অপর দুই আসামি আমিরুল এবং শাহার আলি পলাতক রয়েছেন।