চুল পাকা রোধের প্রাকৃতিক উপায়

নিউজ ডেস্ক, ১৪ মে: অকালে চুল পাকার সমস্যা ঘরে ঘরে। খাদ্যাভ্যাস, দুঃশ্চিন্তা, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত খাবার না খাওয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা হতে পারে। আসুন দেখে নিই চুল পাকা রোধের কয়েকটি উপায়। প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর বসেই বিভিন্ন উপাদান দিয়ে চুলের অকালপক্কতার চিকিৎসার উপকরণ তৈরি করা সম্ভব। নিম্নে এগুলো বর্ণনা করা হলো।

পেঁয়াজ বাটার ম্যাসাজ: 

পেঁয়াজ বাটা চুল পাকা প্রতিরোধে একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। এজন্য যা করতে হবে তাহলো পেঁয়াজ ভালোমতো বেটে মাথার চামড়ায় ও চুলে ম্যাসাজ করতে হবে। পেঁয়াজ বাটা শুকিয়ে গেলে আনুমানিক ৩০ মিনিট পর চুল ও মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে পেঁয়াজ বাটা নিয়মিত মাখলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পাকাচুল কালো হতে শুরু করবে। এমনকি এটি চুল পড়া বন্ধ করে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

আমলকি ও লেবুর রস মিশিয়ে ম্যাসাজ: 

আমলকি ও লেবু এই দুটো ফল যেমন শরীরের মেদ কমানো, হৃদপিণ্ডের সমস্যা ইত্যাদি কমায় পাশাপাশি মাথার ত্বকের জন্যও প্রয়োজনীয় ভিটামিনের যোগান দেয়। অকালে চুল পাকা প্রতিরোধে আমলকির গুঁড়ার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে মাথার চামড়ায় ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিলে চুল পাকা অনেকটাই রোধ হয়।

গাজরের জুস পান করা: 

গাজর একটি পুষ্টিকর সবজি। এটি আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের যোগান দেয়। চুলের যত্নেও এটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। গাজরের সাথে চিনি ও পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে তৈরি জুস প্রতিদিন অন্তত একগ্লাস করে পান করলে পাকা চুলের সমস্যায় অনেক উপকার পাওয়া যায়। শুধু চুল নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও গাজরের জুস অনেক সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল ও লাবন্যময় রাখতেও এর বিশেষ ভুমিকা রয়েছে।

নারিকেল তেল এবং লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় মাখানো:

চুলের যত্নে নারিকেল তেলের অনেক ভুমিকা রয়েছে। পাকা চুলের হাত থেকে রেহাই পেতে তাই প্রতিদিন চার চা চামচ নারিকেল তেলের সাথে আড়াই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে উক্ত মিশ্রণ চুলের গোড়ায় এবং মাথার চামড়ায় লাগাতে হবে। এভাবে লাগালে দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাকা চুল কালো হয়ে উঠবে। এতে একদিকে যেমন মাথার চামড়া সুস্থ থাকবে অপরদিকে চুলে খুশকিও হবে না এবং চুলও হবে উজ্জ্বল।

উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে সহজেই ঘরে বসে অকালে চুল পাকা রোধ করা সম্ভব। যেহেতু পুষ্টিহীনতা, ঘুম কম হওয়া, টেনশন ইত্যাদির কারণে অল্প বয়সে চুল পাকে, তাই এই সমস্যা প্রতিরোধে প্রচুর শাকসবজি খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো, চিন্তামুক্ত থাকা এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা ও খুবই গুরুত্বপুর্ণ।