গাংনী প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর বিরুদ্ধে সরকারি রাজস্ব তহবিলের অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠায়
গত ২০২৩ সালের কাজ ২০২৫ সালে এসে তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে,গত২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর, মাসিক সমন্বয় সভায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক এবং গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা স্বাক্ষরিত বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্পে ভুঁতুড়ে বিল উত্তোলন করেন। স্বাক্ষরিত বিল সংক্রান্ত তথ্যে জানা যায়, ডেঙ্গু মশার উপদ্রব কমাতে উপজেলা চত্বরে ঝোপঝাঁড় পরিষ্কার নামে ৫০ হাজার টাকা, উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর মেরামত ও রং করণের নামে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন হাটে বাজারে নিরাপত্তার নামে সিসি ক্যামেরা বাবদ ১লাখ ৬০ হাজার, উপজেলা মডেল মসজিদের প্রাচীর মেরামত ও রং করনের জন্য ২ লাখ টাকা, নতুন উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের পিছনে প্রাচীর মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা, উপজেলা চত্বরে পানামা নামক বাসার পানির পাম্প মেরামত ও রং করণের জন্য ৫০ হাজার টাকা, দুর্যোগ মোকাবেলায় অসহায়দের নগদ ৯৫ হাজার টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ভাতা ও ভ্রমণ বাবদ ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা টাকা উত্তোলন করেন। সরে জমিনে গিয়ে একটি প্রকল্পেরও কাজের কোন প্রকার হদিস পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সাংবাদিক তৎপরতার কারণে তড়িঘড়ি করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে রঙ করার কাজ আজ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু উপজেলা প্রশাসন।
এ রঙ মিস্ত্রি জিয়াউর রহমান জানান, ‘‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী সঞ্চিতা খাতুনের নির্দেশে দৈনিক হাজিরায় কাজ শুরু করেছি।’’
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন বলেন, ‘‘গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নাজির আবু হানজালা ফোনে জানিয়েছেন যে মহিলা অধিদপ্তরের ভবনের রঙকরণ ও মেরামতের কাজ শুরু হবে। তবে কাজের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটি বাস্তবায়ন করছে, সে বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, ‘‘২০২৩ সালে এই কাজটি করা হয়েছিল এবং এর বিলও পরিশোধ করা হয়েছে। তবে কাজ শেষ না হলে বিল দেওয়ার সুযোগ নেই। বিলের স্বাক্ষরে শুধু আমি নই, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছিল।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’