সাহাজুল সাজু :
মেহেরপুরে গাংনী উপজেলায় চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশী ভুট্টার চাষ হয়েছে। মাঠের মধ্যে সবুজ পাতার আড়ালে হাসছে হলুদ রঙের লাল ফুল। উৎপাদন বেশি, খরচ কম তাই ভুট্টা চাষে লাভের আশা করছেন চাষীরা। অন্য মৌসুমের চেয়ে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে এখানকার চাষীদের। এ মৌসুমে গাংনী উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা গত মৌসুমের তুলনায় বেশি।
কৃষকরা জানান, ধান চাষের পর ভুট্টা চাষটা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। কারণ ভুট্টা চাষে লাভ বেশি। ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে ও ভুট্টার গাছ এবং সবুজ পাতা উন্নত মানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবেও এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এক সাথে অনেকগুলো সুবিধার কারণে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের। বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে আসছে বেশ কয়েক বঠর যাবত। উচ্চ ফলন, বেশি লাভ আর চাহিদা অনেক থাকায় গত বছরের চেয়ে এ বছর ভুট্টা চাষ ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ভুট্টা ক্রয় করছেন।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র বলছে,শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, মাটির উর্বরতা যেনাে ঠিক থাকে এবং চাষীরা যাতে পরিকল্পিত ভাবে ভুট্টার আবাদ করতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমাণ বেশি। এতে প্রায় ১১ভাগ আমিষ জাতীয় উপাদান রয়েছে। আমিষে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড, ট্রিপটোফ্যান ও লাইসিন অধিক পরিমাণে আছে। এছাড়া হলদে রংয়ের ভুট্টা দানায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন বা ভিটামিন ‘এ’ থাকে।
স্থানীয় ভুট্টা চাষীদের দাবি কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হলে,ভুট্টা চাষীরা আরো ব্যাপক হারে এর চাষাবাদ এগিয়ে নিতে পারবে।
