মেহেরপুর নিউজ, ২৪ এপ্রিল: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কল্যাণপুরে মনোরুদ্দীন (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজ বাড়ির বারান্দাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাঁকে হত্যা করা হয়। নিহত মনোরুদ্দীন পেশায় লাঙ্গল তৈরী কারিগর ছিলেন। তিনি মৃত নিহার ফকিরের ছেলে। তবে কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা পরিবার বা পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ জানাতে পারেনি।
জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় মনোরুদ্দীন নিজ বসতবাড়ির একটি ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা হানা দেয় তার শয়নস্থানে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে স্থান ত্যাগ করে। এসময় বাড়ির পেছনের বাঁশ বাগানে শব্দ মানুষ চলাচলের শব্দ পান তার ছেলে। বাড়িতে কয়েকটি গরু থাকায় পরিবারের লোকজন রাতে সজাগ থাকেন। গরু চুরি হতে পারে আশংকায় পিতাকে ডাকতে থাকেন ছেলে। কিন্তু কোন উত্তর না পাওয়ায় ঘর থেকে বের হলে পিতার বারাদ্দায় যান তিনি। এসময় রক্তমাখা পিতার মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ছেলে। এতে পরিবার ও প্রতিবেশীরা টের পায়।
স্থানীয় তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বর ইন্তাজুল ইসলাম বলেন, হত্যাকান্ডের বিষয়টি আমি শুনেছি। গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তবে কী কারণে এই হত্যাকা- তা গ্রামের কেউ ধারনা করতে পারছে না। স্থানীয় কয়েকজন জানান, নিহত মনোরুদ্দীনকে নিরিহ ও ভালো মানুষ হিসেবে গ্রামের মানুষের কাছে পরিচিতি রয়েছে। পেশায় লাঙ্গল তৈরীর করেন তিনি। এ কারনে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি। গ্রামের কিংবা আশেপাশের গ্রামের কারো সাথে তার বিরোধ রয়েছে এমন তথ্য কেউ বলতে পারেননি। তবে কেন এই হত্যাকা-? কীভাবে হত্যা করা হয়েছে? এসব প্রশ্নের তাৎক্ষনিক কোন উত্তর মেলেনি। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, হত্যাকান্ডের কারণ এখানো জানতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বোঝা যাবে কি কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।