করোনা প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি

মেহেরপুর নিউজ:

দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই মহামারি রোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করল সরকার। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বিধিনিষেধ জারি করে। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ সহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির মুখোমুখি হওয়া সহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

সিনিয়র সহকারী সচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে ১১ দফা নির্দেশনার অন্যগুলো হচ্ছে অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে বত্যয় রেখে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোণা টিকা সনদ প্রদর্শন করা। ১২ বছরের উর্ধ্বে সকল ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশর অনুমতি না দেওয়া। স্থলবন্দর, সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দর সমূহ স্কিনিং এর সংখ্যা বাড়ানো পোর্ট সমূহে ক্রদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা। স্থল বন্দরগুলোতে আগত ট্রাকের সাথে শুধুমাত্র ড্রাইভার থাকা। এক্ষেত্রে কোনো সরকারী আসতে পারবে না। বিদেশিদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমান বন্দরে প্রবেশ বন্ধ রাখা। ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়া।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখ সহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার জানের চালকও সহকারীদের অবশ্যই কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সকল মসজিদে জুম্মার নামাজের খুতবার ইমামগণ সকলকে সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। সর্বসাধারণের করোনার টিকা এবং বুষ্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এ ক্ষেত্রে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সহায়তা গ্রহণ করবে।

কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়াই উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক-রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ সমূহ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। এবং কোন এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।